কুষ্টিয়ার খোকসা জানিপুর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে ১০ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ১৭ সেপ্টেম্বর সকালে প্রাইভেট পড়ানোর সময় ওই শিক্ষক রেজাউল করিম ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করেন বলে জানা গেছে।
যৌন হয়রানির শিকার ছাত্রীর লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, খোকসা জানিপুর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রেজাউল করিমের কাছে বিকালের ব্যাচে সে প্রাইভেট পড়ত। এসএসসি পরীক্ষার কারণে ছাত্রীকে সকালের ব্যাচে আসতে বলেন শিক্ষক রেজাউল করিম। গত ১৭ সেপ্টেম্বর ছাত্রীটি সকালে পড়তে আসে এবং তার প্রাইভেট পড়তে আসতে দেরি হওয়ার পরও দ্রুত ছুটি না দিয়ে অতিরিক্ত পড়া দিয়ে ছাত্রীটিকে দেরি করান রেজাউল। একপর্যায়ে সব শিক্ষার্থীরা চলে গেলে শিক্ষক নানাভাবে যৌন হয়রানি করেন।বাড়ি ফিরে ছাত্রী তার পরিবারকে বিষয়টি জানায়।পরে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন।
এদিকে উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর থেকে ওই ছাত্রীর বাবা-মা আত্মগোপন করে আছেন।একাধিক বার মোবাইল ফোনে কল দিলেও তারা কল রিসিভ করছেন না।বাড়ি গিয়ে ডাকাডাকি করেও সারা মেলেনি। ছাত্রীর বাবা-মার মোবাইলফোন সব সময় চালু আছে। অভিযোগকারী ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে সম্পৃক্ত একটি সূত্র বলছে, কোনো না কোনো অদৃশ্য ভয়ের কারণে তারা আত্মগোপনে রয়েছেন। এটি সামাজিক ভীতিও হতে পারে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক রেজাউল করিমের মোবাইল ফোনে একাধিক বার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। এ বিষয়ে খোকসা থানার ওসি সৈয়দ আশিকুর রহমান জানান, তিনি মৌখিক অভিযোগ পেয়েছেন। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি রিপন বিশ্বাস জানান, ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ পেয়েছেন। অভিযুক্ত শিক্ষক রেজাউল করিমকে সোমবার স্বশরীরে হাজির হয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে।দোষী প্রমাণ হলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।