ভোলায় কোমরের অংশে জোড়া লাগানো যমজ দুই কন্যাশিশুর জন্ম হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে মনি মুক্তা (২২) নামের এক নারী দুই কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। মনি মুক্তা জেলার সদর উপজেলা রাজাপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের বাসিন্দা। তার শ্বশুরবাড়ি মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায়। তার স্বামী সাইফুল ইসলাম একটি বেসরকারি কোম্পানির সেলসম্যান। মুক্তার স্বামী সাইফুল ইসলাম জানান, শুক্রবার সকালে তার প্রসববেদনা উঠলে দ্রুত তাকে ওই ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। ডা. জান্নাতী আলম অস্ত্রোপচার (সিজার) করলে যমজ দুই শিশুর জন্ম হয়। শিশু দুইটির কোমরের অংশে জোড়া লাগানো। ডাক্তার জানান শিশু ও মা সুস্থ আছেন।
সাইফুল ইসলাম আরও জানান, ২ মাস আগে তিনি মনি মুক্তাকে ঢাকায় ডাক্তার দেখিয়েছিলেন। তখন ডাক্তার আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট দেখে তাকে জানিয়েছিলেন গর্ভে যমজ শিশু রয়েছে। তারা গর্ভে উল্টো অবস্থায় রয়েছে। এছাড়াও বৃহস্পতিবার দুপুরে মনি মুক্তাকে পুনরায় আল্ট্রাসনোগ্রাম করা হয়। অস্ত্রোপচার করা ডাক্তার রিপোর্ট দেখে সেই একই কথা জানিয়েছিলেন। তবে যমজ বাচ্চা দুইটির কোমরের অংশে যে জোড়া লাগানো তা কোনো রিপোর্টেই আসেনি। সদ্য ভূমিষ্ট হওয়া শিশু দুইটি সাইফুল ইসলামের দ্বিতীয় সন্তান। তার ৪ বছর বয়সী আরেকটি কন্যাসন্তান রয়েছে। সেই সন্তানটি নরমাল ডেলিভারিতেই জন্মেছিল।
জানতে চাইলে ভোলার সিভিল সার্জন ডা. কেএম শফিকুজ্জামান জানান, বিভিন্ন কারণে জোড়া লাগানো যমজ শিশুর জন্ম হয়ে থাকে। মনি মুক্তার জন্ম দেওয়া জোড়া লাগানো শিশু দুইটিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নেওয়া হলে ভালো হবে। সেখানকার সার্জারি বিভাগের চিকিৎসকরা এ বিষয়ে উন্নত চিকিৎসা দিতে পারবেন।